Top News

এখনো বেঁচে আছেন ১৯০৩ সালের মানুষ, করেন স্বাভা*বিক চলা*ফেরা, কাজকর্ম!

 

১২৩ বছর বয়সেও বেঁচে আছেন আউলা ফকির। একাই চলাফেরা থেকে শুরু করে স্বাভাবিক কাজকর্ম, নামাজ পড়া এমনকি নিজের কাজগুলো নিজেই করেন। ১৫০ কিলোমিটার দূরেও ঘুরতে যান মেয়ে জামাই বাড়ি। এই বয়সেও হাঁটেন, চলাফেরা করেন, অটো রিক্সায় চড়েন নিজেই, নিজেই ওঠেন নিজেই নামেন।


বলছিলাম রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের মৃত মোজাফফর আলী মিয়ার নাতি মৃত আজগর আলী মিয়ার পুত্র মোঃ আউয়াল মিয়া (আউলা ফকির)। ছোটবেলায় বাবা মারা গেলে তিনি নানার বাড়িতে মানুষ হন। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বলপুর দক্ষিণ সরকার পাড়া গ্রামে তার নানার বাড়ি, সেখানেই থাকেন এখনো।


কথা বলতে বলতে বোঝা যায় তার স্মরণশক্তি এখনো আগের মতই রয়েছে। তাকে ভারত পাকিস্তান ভাগের বিষয়টি সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এটা তো সেদিনের ঘটনা। ভারত পাকিস্তান ভাগের কথা থেকে শুরু করে আরো অনেক আগের ইংরেজ শাসনের বড়লাট কে মারার ক্ষেত্রে ক্ষুদিরামের আকাঙ্ক্ষা ও মারতে ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা থেকে শুরু করে নানান ঘটনার কথা অনায়াসে বলে চললেন। স্মরণশক্তিতে প্রখর এই ব্যক্তি সেই সময়ের কথাগুলো অনায়াসে গল্প আকারে বলতে পারেন দীর্ঘ সময় ধরে। কথাবার্তায় নেই কোন জড়তা। এখনো তিনি স্পষ্টভাষী এবং অনেক জোরে কথা বলেন, চোখের চশমা পরা থাকলেও কানে শোনার ক্ষেত্রে একটু দুর্বল। তবে একটু জোরে কথা বললে তিনি সব শুনতে পারেন,, বুঝতে পারেন, উত্তরও দিতে পাচা খেতে খেতে তিনি বলেন, আযান দিয়েছে কিনা? আসরের নামাজের সময় তিনি ইমামতিও করেন এবং নামাজ শেষে দোয়া মোনাজাত করে আমলের শিক্ষা দেন। কয়বার কোন দোয়া পড়তে হবে তা তিনি উপস্থিত সকলকে বলে দেন। মনে হয় কোন ধার্মিক তরতাজা যুবক এসব কথা বলছে।


বিবাহিত জীবনে তিনি চারটি বিয়ে করেছিলেন সবথেকে ছোট স্ত্রী এখনো জীবিত তবে স্বাভাবিক চলাফেরায় তার সমস্যা হয় বলেও জানালেন। তিনি জানালেন তার ৯ সন্তানের কথা। তার বড় মেয়ে লাইলী বেগম, বিয়ে হয়েছে, বিয়ের পর নাতি হয়েছে, নাতি নাতনির পর পোতি বা চতুর্থ প্রজন্ম এসেছে তার সেই বড় মেয়ে, মেয়ে জামাই তারা আর দুনিয়াতে নেই- সেটাও বললেন। নামাজ শেষে দোয়া মোনাজাত করে তিনি একজনের মোটরসাইকেলের পেছনে উঠে তার মেয়ে জামাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেবয়সের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , আমার বয়স এখন ১২৩ তবে আমি সেই জন্মসালের কথা স্পষ্ট বলতে পারব না, আমার বড় মেয়ে বেঁচে থাকতে সবকিছু হিসাব করে আমাকে জানিয়ে ছিলেন আমার এই বয়সের কথা। তাকে দেখে তার চলাফেরা দেখে তার কথা তার নামাজ পড়া এবং ধর্ম বিষয়ে আমল করার যে নির্দেশনা তা দেখে মনে হয় আল্লাহ চাইলে অনেক কিছুই করতে পারেন।ন।রেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post