ফেনীর ছাত্র আন্দোলন দমনের সময় অস্ত্র হাতে থাকার অভিযোগের মুখে পড়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফেনী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর লুৎফর রহমান খোকন হাজারী। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন তিনি।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোটা পূর্ণবহাল চলবে না (ফেনী) নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, বিনা দোষে দোষী হলাম কেন? কেন এত বৈষম্য আমার বেলায়? গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছিল, আমি মহিপাল থেকে ২-৩ কিলোমিটার দূরে থাকা সত্ত্বেও সবগুলো হত্যা মামলার আসামি হয়েছি! কিন্তু কেন?তিনি আরও লেখেন, যারা আমাকে হত্যাকারী বলছেন, তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ— মহিপালে অন্তত ১০০-২০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলো ভালো করে যাচাই করুন। সেখানে আমার কোনো অস্তিত্ব নেই। একজনকে বিনা দোষে হত্যাকারী বলা সহজ, কিন্তু আমিও কারও সন্তান, কারও ভাই, কারও প্রতিবেশী। দয়া করে আমাকে বিনা দোষে অপরাধী বানাবেন না।
পোস্টের শেষে আল্লাহর নামে শপথ করে তিনি বলেন, আমি আবারও বলছি, ৪ আগস্ট আমি মহিপালে ছিলাম না। যদি কোনো সিসিটিভি ফুটেজে প্রমাণ হয় যে আমি সেখানে ছিলাম, তাহলে ফেনীর জনগণ যে শাস্তি দেবে, আমি তা মাথা পেতে নেব, ইনশাআল্লাযদিও খোকন হাজারীর এই দাবির বিপরীতে আন্দোলন দমনের সময় তার অস্ত্র হাতে থাকার ছবি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ছবিতে দেখা গেছে, ফেনী ট্রাংক রোডের বাঁশপাড়ার মুখে তিনি মাথায় হেলমেট ও গায়ে টিশার্ট পরে শর্টগান হাতে আন্দোলন দমনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার পাশে থাকা কর্মীরা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় মোট ১৯টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি হত্যা মামলা এবং ১১টি হত্যাচেষ্টার মামলা। এসব মামলায় খোকন হাজারী একাধিক হত্যা মামলার আসামি বলে জানা গেছে।হ
Post a Comment