সামনে বলে সাথে আছি, বাইরে গিয়ে নিজের মত কথা বলে
যদি ওইভাবে চিন্তা করেন যে, ইউনুস সাহেবকে নির্বাচন, রাজনৈতিক দল যারা নির্বাচন চায়, যৌক্তিক, তারা চাইবেই। কিন্তু আমার ব্যক্তিগতভাবে ১৬ বছরের স্বৈরাচার সরকার, টানা ১০ বছর তারা নির্যাতিত, তাদের লোক গুম হইছে, খুন হইছে, হত্যা হইছে।ইলিয়াস আলী গায়েব হয়ে গেছে, এরকম বহু লোক, তাদের তো রক্ত আরো বেশি গরম হওয়া দরকার। কোন কথা নাই, আগে বিচার। আগে বিচার, এই জায়গাটায় আমাদের আসা উচিত। সম্প্রতি এনটিভি আয়োজিত “রাজনীতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গ” শিরোনামের এক টকশোতে অ্যাড. আবু হেনা রাজ্জাকী এ মন্তব্য করেতিনি বলেন, বাট, পাশাপাশি নির্বাচন চাইবে, নির্বাচনের রাস্তায় সরকারকে আগাইতে হবে। ইউনুস সাহেব যখন টেক ওভার করছে, তখন দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগের লোকগুলো আমি বাদই দিলাম, এগুলো বাদে যারা ছিল, সবাই তাকে সমর্থন করছিল, এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু তারপরে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বিভাজন শুরু হয়ে গেল, অল্প কয়দিনের মধ্যেই।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউ এইজ পত্রিকার নুরুল কবির সাহেবের সাথে একটা ইন্টারভিউ দিচ্ছিল, উনি সেখানে বলছিল যে, আপনারা জাতীয়, ন্যাশনাল ঐক্য বলতে যেটা, সেটা কতদূর কি হলো?ন।উনি বলল যে, আপনি তো ঐক্য করতে পারছেন না। আমরা তো দেখছি না। আমি তো বুঝতেছি না, যে আমার এখানে যখন সবাই দেখা করতে আসে, তখন সবাই আমার সাথে আছে। কিন্তু যখন কিন্তু বেরিয়ে যায়, তখন কিন্তু যার যার মতো করে কথা বলে, তো এখন আমি এটা কি করব। এটা ড. ইউনূসের বক্তব্য আমার বানানো না।
তার মানে এটা কিন্তু একটা বার্তাও দিয়ে দিচ্ছে উনি, মানে খুব সহজ-সরল কায়দায় বার্তা দিয়ে দিচ্ছে ,সেটা কিআসলে রাজনীতিবিদ আমাকে বলে একটা, বাইরে গিয়ে বলে আরেকটা। এই মুহূর্তে ইউনুস সাহেব যেই সমর্থনটা নিয়ে বসছিল, সেটা ওখানে তার প্রতি নাই, তা না হইলে এই কথাটা উনি বলতেন না। যদি একই কায়দায় থাকে, উনি তো আর বানাইয়া বলতেছেন না।
নুরুল হক কবির সাহেব আরেকটা প্রশ্ন তাকে করছিল, যে আপনার অনেক উপদেষ্টা তো ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের কথা কি বলবো, আমি নিজেই তো ব্যর্থ হচ্ছি। আমি নিজেই যখন ব্যর্থ হচ্ছি, তখন আমি তাদেরকে কি বলবো। এই কথাগুলো উনি বলছেন, এটা পরিষ্কার।
এখন আমার বক্তব্যটা যেমন উনি বলছেন, আমার ব্যাংক মানে টাকার ক্রাইসিস, ডলারের ক্রাইসিস, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, তারপরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সব ঠিক আছে। টোটালটা কিন্তু ওনার ডিমেরিটস। আমি বলছি, আমি কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে জানিনা, পত্রিকান্তরে আর অন্যরা যা বআমি কাউকে দোষারোপ করি না, পক্ষপাতিত্বও করি না। বাট ইট ইজ এ ফ্যাক্ট যে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, যানজট, এগুলা কি ৬ই আগস্ট থেকে হইছে, নাকি তার আগের থেকে ছিল? ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা চইলা গেল।
না, আমি বলছি ৬ই আগস্ট থেকে তো এগুলো হয় নাই? কারণ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সিন্ডিকেট, পতিত সরকার, যাকে আমি এখন আর সবসময় বলি, লেডি ভার্সন অফ হিটলার।
তার মন্ত্রী টিপু মুন্সী বলছিল, সিন্ডিকেট নিয়ে আমরা কিছু করতে পারতেছি না। তার মানে কি? দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ছিল। সেটা পলিটিক্যাল গভমেন্ট, সো কল্ড হোক, যে কল্ড হোক না।লেন।?
Post a Comment